ওয়ারপো উপকূলীয় অঞ্চল নীতি ২০০৫ এর মাধ্যমে জাতীয় পানি সম্পদ ডাটাবেস এর সাব-সেট হিসাবে সমন্বিত উপকূলীয় সম্পদ ডেটাবেস(আইসিআরডি) স্থাপন করা অনুমতি প্রাপ্ত হয়। প্রাতিষ্ঠানিক পরিবেশ শক্তিশালীকরণ করার জন্য উপকূলীয় অঞ্চল নীতির ধারা ৫.৫.২ এ সমন্বিত উপকূলীয় সম্পদ ডেটাবেস(আইসিআরডি) স্থাপন করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের ১৯ টি জেলার বিভিন্ন সেক্টরের ডেটা সমন্বিত উপকূলীয় সম্পদ ডেটাবেস (আইসিআরডি) এ সংরক্ষন করা হয়। সমন্বিত উপকূলীয় সম্পদ ডেটাবেস (আইসিআরডি) উপকূলীয় অঞ্চলের ঝুকি এবং সম্ভাবনার হালনাগাদ স্বচ্ছ ছবি প্রদান করে যা সিদ্ধান্ত ও নীতি গ্রহনে সহায়তা করে।
ওয়ারপো ডিসেম্বর ২০০৫ সালে সমন্বিত উপকূলীয় সম্পদ ডেটাবেস (আইসিআরডি) উন্নয়ন/স্থাপন কাজ সম্পন্ন করেছে। প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক উৎস থেকে ডেটা সংগ্রহ ও সংগৃহীত ডেটা সংরক্ষণ করা হয়েছে। বর্তমানে উপকূলীয় সম্পদ ডেটাবেস (আইসিআরডি) তে ৫৬৩ ট ডেটা লেয়ার আছে। আইসিআরডিতে ডেটা/তথ্য ৬ টি প্রধান গ্রুপে ভাগ করে রাখা হয়েছে। গ্রুপগুলো হলোঃ
১) প্রশাসনিক ও প্রাতিষ্ঠানিক : প্রশাসনিক এলাকা, অংশগ্রহণ, এফএমও / সিবিও, সরকারী সংগঠন, ইনফরমাল সংগঠন, এনজিও, আইন, রেগুলেশন, নীতি , নির্দেশিকা ইত্যাদি ।
২) অর্থনীতি এবং অর্থিক : ঋণ, কর্মসংস্থান, বৈদেশিক মুদ্রা আয়, জিডিপি, সঞ্চয়, মজুরি, কৃষি, মৎস্য, শিল্প, সেবা ইত্যাদি।
৩) তহবিল এবং হস্তক্ষেপ : পানি, স্বাস্থ্য, খাদ্য সহায়তা প্রোগ্রাম ইত্যাদি।
৪) মানব সম্পদ ও সামাজিক অবস্থা: জনসংখ্যা, আর্থিক সম্পদ, লিঙ্গ সংক্রান্ত তথ্য, শিক্ষা ও দক্ষতা, স্বাস্থ্য, আয়, প্রাকৃতিক সম্পদ, শারীরিক সম্পদ, সামাজিক ইত্যাদি।
৫) সম্পদ, অবকাঠামো এবং সেবা : কৃষি সেক্টর, যোগাযোগ সেক্টর, শিক্ষা সেক্টর, স্বাস্থ্য সেক্টর, পাওয়ার সেক্টর, সুরক্ষা, পরিবহন সেক্টর ইত্যাদি।
৬) প্রাকৃতিক সম্পদ এবং পরিবেশ: চর এবং আন্তঃ জোয়ার এলাকাসমূহ, মোহনার গতি প্রকৃতি, মাছ এবং অন্যান্য জলজ সম্পদ, সমভূমি ভূমি বন, শেলো অ্যাকুইফার, হোমস্টেড গার্ডেন, ম্যানগ্রোভ, কৃষি জমি, পুকুর এবং ঝরনা, বন্দোবস্ত এলাকা / শিল্প, এলাকা / অবকাঠামো: বায়ু, আর্দ্রতা, বৃষ্টিপাত, সূর্য়ের আলো, বায়ু, গ্যাস ও তেল, বালি ও খনিজ পদার্থ, গভীর সমুদ্র, এস্টারি শাখা এবং উপকূলীয় জল, প্লাবনভূমি (জলাভূমি), বহুবর্ষজীবী জলজ স্থান, নদী ইত্যাদি।